
Home দৃষ্টিপাত > নগরকান্দায় চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ২ ডাক্তার
এই পৃষ্ঠাটি মোট 519 বার পড়া হয়েছে
নগরকান্দায় চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ২ ডাক্তার
ফরিদপুরের নগরকান্দা ও নবগঠিত সালথা উপজেলার ৪ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র দুই জন ডাক্তার কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে। ডাক্তারের অভাবে রোগীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা।
জানা গেছে, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার থাকার কথা রয়েছে ২১ জন। বর্তমানে ২১ জনের স্থানে খাতা-কলমে ডাক্তার আছে ছয় জন। তবে বাস্তবে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় কর্মস্থলে আছে মাত্র দুই জন ডাক্তার। ডাঃ কামাল মোস্থফা (চর্ম) ও ডাঃ লুৎফন নাহার (গাইনী) নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রতি মাসে বেতন নিলেও ডেপুটেশনে কর্মরত আছেন ফরিদপুরের সদর ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ডাঃ মাহবুবুল আলম (নাক,কান.গলা) ঢাকায় প্রশিক্ষনে ও ডাঃ শেখ মোঃ শাহানুর রহমান (ডেন্টাল) ধর্ম সেবায় ছুটিতে আছেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ডাঃ শেখ মোঃ শাহানুর রহমান প্রায়ই ধর্ম সেবার নামে ছুটিতে থাকেন। নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার ৪ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় বাস্তবে হাসপাতালে এখন কর্মরত আছে মাত্র দুই জন ডাক্তার । এরা হলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প, কর্মকর্তা সুনীল কুমার চক্রবর্তী এবং মেডিকেল অফিসার মাহবুব হোসেন।
নগরকান্দা উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভা এবং সালথা উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মোট ৪ রাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় মাত্র দুই জন ডাক্তার কর্মরত থাকায় যথাযত চিকিৎসার অভাবে রোগীদেরকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ হাসপাতালে কোন রোগী ভর্তি হলেই তাকে সঙ্গে-সঙ্গেই ফরিদপুরে রেফার্ড করে দেয়া হচ্ছে। ফরিদপুর থেকে নগরকান্দার দূরত্ব ২৫ কিলো মিটার, তাই অনেক সময় ফরিদপুর নেয়ার পথেই অবস্থার অবনতি হয়ে রোগী মারা যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী রোগীরা জানান, ডাক্তার পর্যাপ্ত না থাকার কারনে অনেক সময় হাসপাতালের নার্স, আয়া ও ওয়ার্ডবয়’রা ডাক্তারের ভুমেকা পালন করে থাকে। এতে ভুল চিকিৎসায় বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা সংঘর্ষ প্রবণ এলাকা হওয়ায় মাঝে মাঝেই হাত-পা ভাঙা রোগী হাসপাতালে এলে এক্স-রে অপারেটরের অনুপস্থিতির কারনে এক্স-রে মেশিন থাকা সত্যেও রোগীদের অন্যত্র যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসির দাবি, ডাক্তারদের ডেপুটেশন না দিয়ে উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের সেবায় রেখে এবং শূণ্য পদে যত দ্রত সম্ভব ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে এ হাসপাতালের অচলাবস্থা দূর করা হোক। তা না হলে এ হাসপাতাল রোগীদের কল্যাণে কোন কাজেই আসবে না।
নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প, কর্মকর্তা ডাঃ সুনীল কুমার চক্রবর্তী বলেন, ডাক্তারের অভাবে হাসপাতালে আসা সব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হয় না । তাই বাধ্য হয়েই অনেক সময় রোগীদের ফরিদপুরে রেফার্ড করতে হয়।
ছবি ও তথ্যসূত্র : ফরিদপুর কন্ঠ, ২৬/০৭/১৪