
Home দৃষ্টিপাত > ঈদকে সামনে রেখে ফরিদপুরে সরকারী কর্মকর্তাদের ‘ঘুষ বাণিজ্যে’
এই পৃষ্ঠাটি মোট 522 বার পড়া হয়েছে
ঈদকে সামনে রেখে ফরিদপুরে সরকারী কর্মকর্তাদের ‘ঘুষ বাণিজ্যে’
ফরিদপুরে জুন মাস থেকে ও আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সরকারী অফিসের বড় কর্মকর্তারা ঘুষ বানিজ্য করে হাাতিয়ে নিয়েছে প্রায় কোটি টাকা। সুত্রে জানা যায়, সরকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এলজিইডি, গনপুর্ত বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ,শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীরা ও তার অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীরা জুনে বছরের শেষ হিসাবে ও ঈদকে সামনে রেখে ঠিকাদারের নিকট বিল দেওয়ার জন্য বাধ্যতামুলক বিভিন্ন হারে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা। অনেক ঠিকাদাররা জুন মাস ও ঈদের সামনে ঠিকাদারী বিল উত্তোলন করে বিভিন্ন পাওনাদার ,পরিবারের ঈদ বাজারের জন্য পাওনা টাকার জন্য উপরোক্ত নির্বাহী প্রকৌশলীদের নিকট বিল প্রত্যাশায় ধরনা দিতে হয়। ওই সুযোগে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীরা বিভিন্ন হারে ঘুষ দাবি করে। ঘুষ দিলেই বিল মিলবে, ঘুষ না দিলে নির্বাহী প্রকৌশলীরা বলে দেন আপাতত বরাদ্দ নেই। তখন বাধ্য হয়ে ঠিকাদারদের প্রকৌশলীদের চাহিদামতো ঘুষ দিতে হয়। আরও জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রায় কোটি টাকার উর্দ্ধে এই ঘুষ বানিজ্য করছে নির্বাহী প্রকৌশলীবৃন্দরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভিন্ন দপ্তরের ৪০/৫০ জন ঠিকাদাররা জানান, আমরা সরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রকৌশলী ও তাদের অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছি। তার কারন হচ্ছে জুন মাসে বিল করতে না পারলে বিলের টাকা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে ফেরত চলে যায়। পরবর্তীতে ওই বিলের টাকা উত্তোলন করতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও বছরের পর বছর লেগে যায়। তাই কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাহিদা মেটাতে বাধ্য হই। তারা আরও বলেন, কোনো প্রকল্পের কাজ শুরু করার সাথে সাথে আমরা বিভিন্ন ব্যবসায়ী যেমন, রড সিমেন্ট, ইট, বালু ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বাকিতে সামগ্রী নিয়ে কাজ শুরু করি। বিল পেয়ে ওই ব্যবসায়ীদের টাকা পরিশোধ করতে হয়। এ সমস্যাগুলি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানেন। তাই আমাদের নিকট থেকে এই ঘুষ বানিজ্যর সুযোগ পায়। তারা এও জানেন বিল পরিশোধ না করলে পাওনাদাররা আমাদের আর ভবিষ্যতে বাকিতে কোন মালামাল দিবে না।
তথ্যসূত্র; ফরিদপুর কন্ঠ,২৬/০৭/১৪