
Home রাজনীতিবিদ > কেএম ওবায়দুর রহমান(১৯৪০-২০০৭) আপডেট চলছে
এই পৃষ্ঠাটি মোট 702 বার পড়া হয়েছে
কেএম ওবায়দুর রহমান(১৯৪০-২০০৭) আপডেট চলছে
জন্ম ও শৈশব: কেএম ওবায়দুর রহমান ১৯৪০ সালে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দায় জন্মগ্রহণ করেন।
ছাত্রজীবন: পাওয়া যায়নি
কর্মজীবন: সংগ্রহের চেষ্টা চলছে...
রাজনৈতিক জীবন: কেএম ওবায়দুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন ছিল ঘটনাবহুল। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক কারণে ১০ দফায় মোট সাড়ে ১৩ বছর কারাবরণ করেন ওবায়দুর রহমান।
১৯৫২ সালে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানের জনসভায় যোগ দিতে গিয়ে গ্রেফতার হন তিনি। এরপরই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৫৯-৬০ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ১৯৬২-৬৩তে। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস তিনি পালন করেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব।
১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া অন্য যে দু’জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাদের একজন কেএম ওবায়দুর রহমান, অন্যজন তোফায়েল আহমেদ। ভাষা আন্দোলনসহ ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৫-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৯৭৮ সালে বিএনপির জন্ম হলে জিয়াউর রহমানের আহ্বানে বিএনপিতে যোগ দেন ওবায়দুর রহমান। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বিএনপির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে দায়ের করা জেলহত্যা মামলায় সাড়ে তিন বছর কারাগারে ছিলেন ওবায়দুর রহমান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে কারাগারে থেকে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মৃত্যু: বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী কে এম ওবায়দুর রহমান ২০০৭ সালের এ দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
প্রতিবেদন : রেজাউল করিম বিপুল
সম্পাদক: মাহফুজ মাসউদ